সেবা সমূহঃ
১। ট্রাভার্সঃ- কোন মৌজার নকশা সম্পূর্ন নতুন করে প্রস্ত্তরত করতে সরজমিনের সাথে সংঙ্গতী রেখে একটি নির্দিষ্ট স্কেলে প্রাথমিক ভাবে নকশা প্রস্ত্ততের যে কাঠামো স্থাপন করা হয় সেটাই ট্রাভার্স।
২। কিস্তোয়ারঃ- এইস্তরে আমিন দল ভূমি মালিকগন কর্তৃক চিহ্নিত আইল/সীমানা প্রতি খন্ড জমি পরিমাপ করে মৌজার নকশা অংকন কিস্তোয়ার অথবা ব্লুপ্রিন্টে পুরোনো নকশা সংশোর্ধন করেন।
৩। খানাপুরীঃ- কিস্তোয়ার স্তরে অঙ্কিত নকশার প্রত্যেকটি দাগে সরোজমিনে উপস্থিত হয়ে আমিনগন জমির দাগনম্বর দিবেন এবং মালিকের রেকর্ড দলিলপত্র ও দখল যাচাই করে প্রাথমিক ভাবে মালিকের নাম ঠিকানা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য খতিয়ানে লিপি বদ্ধ করেন।
৪। বুঝারতঃ- বুঝারত অর্থ জমি বুঝিয়ে দেওয়া। এস্তরে নতুন আমিনদল কর্তৃক খতিয়ান বা পর্চায় জমির পরিমন উল্লেখ করে বিনা মূল্যে উক্ত পর্চা জমির মালিক কে সরবরাহ করে বুঝারতে যা মাঠ পর্চা নামে পরিচিত।
৫। খানাপুরী কামবুঝারতঃ- যখন কোন মৌজার ব্লুপ্রিন্ট সীটের জরীপ কাজ করা হয় তখন খানাপুরী ও বুঝারত স্তরের কাজ একসাথে করা হয়।
৬। তসদিক বা এ্যাটেষ্টেশনঃ- ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে তসদিক স্তরের কাজ সম্পাদিত হয় ক্যাম্প অফিসে। খানাপুরী ও বুঝারত স্তরে খতিয়ান প্রনিত হয় মৌসুমী কর্মচারী বা আমিন দ্বারা। তসদিক স্তরের কাজ সম্পাদন করেন একজন কানুনগো বা রাজস্ব অফিসার।
৭। খসড়া প্রকাশনা (ডিপি ও আপত্তি দায়ের)ঃ- তসদিক সমাপ্তির পর কোন এলাকার জমির প্রনীত রেকর্ড (খসড়া প্রকাশনা ডিপি) সর্ব সাধারনের প্রদর্শনের জন্য মৌজা ভিত্তিক ৩০ দিন উন্মক্ত রাখা হয়। খসড়া প্রকাশনা উন্মক্ত রাখার সময় কাল উল্লেখ পূর্বক ক্যাম্প অফিস হতে এ জন্য বিজ্ঞপ্তি ও প্রচার করা হয়।
৮। আপত্তি শুনানীঃ- ডিপি চলা কালে গৃহীত আপত্তি মামলা সমূহ সংশ্লিষ্ট পক্ষগন কে নোটিস ইসু মারফত জ্ঞাত করে নির্দিষ্ট তারিখ সময় ও স্থানে শুনানী গ্রহণ করে বিজ্ঞপ্তি করা হয়।
৯। আপিল শুনানীঃ- আপত্তির রায়ের সংক্ষুদ্ধ কোন পক্ষ ৩১ বিধিতে আপিল দায়ের করলে এ পর্যায়ে এসকল আপিলের শুনানী ও নিস্পত্তি করা হয়।
১০। চুড়ান্ত প্রকাশনাঃ- উপরোক্ত স্তরসমূহের কাজ সমাপ্তির পর আনুষঙ্গিক কার্যাদি সম্পর্ন করে পর্চা ও নকশা মুদ্রন করা হয়। মুদ্রিত নকশা ও পর্চা পূনঃ পরিক্ষা করে তাহা চুরান্ত প্রকাশান দেওয়া হয়।